জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে কর্মরত ৯ জন সহকারী প্রকৌশলীকে ষষ্ঠ গ্রেডে পদন্নোতি দিতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে অধিদপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামোতে ষষ্ঠ গ্রেডের পদ বিদ্যমান না থাকায় সিনিয়র স্কেল প্রদানের সুযোগ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৯ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত ৯ জন বিসিএস (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল) ক্যাডারের কর্মকর্তা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর অনুচ্ছেদে ৩(১) অনুযায়ী নবম গ্রেডে চাকরিকাল ৫ বছর পূর্তি এবং সিনিয়র স্কেল পদন্নোতি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াতে সিনিয়র স্কেলের ষষ্ঠ গ্রেডে বেতনে পদোন্নতি প্রদানের জন্য আবেদন করেন।
এর আগে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস. এম. গোলাম ফারুককে সভাপতি করে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাব এবং প্রধান প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপস্থাপনার প্রেক্ষিতে অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি সভাকে জানান যে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামোতে ষষ্ঠ গ্রেডের পদ বিদ্যমান না থাকলে সে ক্ষেত্রে ষষ্ঠ গ্রেডে সিনিয়র স্কেল প্রদানের সুযোগ নেই। ফলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামোতে ষষ্ঠ গ্রেডের পদটি বিদ্যমান না থাকায় প্রস্তাবিত নয়জন কর্মকর্তাকে সিনিয়র স্কেলে ষষ্ঠ গ্রেডে সিনিয়র স্কেল প্রদানের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
তবে ফের ষষ্ঠ গ্রেডে সিনিয়র স্কেলে পদোন্নতি পেতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে তোড়জোড় শুরু করেছেন কিছু কর্মকর্তা। বিষয়টি নিয়ে এর আগে গত ২০২৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পদোন্নতি প্রদান বিষয়ক গঠিত কমিটির সভা ডাকা হয়েছিল বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ষষ্ঠ গ্রেড বিদ্যমান না থাকলেও এই গ্রেডে পদন্নোতি দেওয়া যায় কিনা- জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, সরকারি সবকিছুর একটা নিয়োগ বিধি থাকে, বইতে লেখা থাকে। সরকারি কোন জিনিষ কি কেউ কাউকে দিয়ে দিতে পারে? আমি চাইলেই কি আপনাকে চাকরি দিতে পারবো? আপনি চাইলেই কি আমাকে কোথাও পোস্টিং দিতে পারবেন? সব কিছুই নিয়ম কানুনের মধ্যে লেখা আছে। সুতরাং যা হবে সব সরকারি নিয়ম কানুন মেনেই হবে।